ভয়ঙ্কর অতিথির গল্প

Be the first to comment!

রাত তখন প্রায় ১টা। হঠাৎ দরজায় টোকা পড়ল। রাফি চমকে উঠল। গ্রামের পুরোনো বাড়িতে সে একাই ছিল। বিদ্যুৎও চলে গেছে ঘন্টাখানেক আগে। টর্চ হাতে নিয়ে সে ধীরে ধীরে দরজার দিকে এগিয়ে গেল। কে আসলো এতো রাতে?

দরজা খুলে সে দেখল, একজন বৃদ্ধা মহিলা দাঁড়িয়ে আছেন। পরনে সাদা শাড়ি, চোখদুটো যেন গভীর অন্ধকারে ঢাকা।
“ছেলে, একটু জল পাবো?”—নারীকণ্ঠটি কাঁপা, ঠান্ডা।

রাফি কিছুটা দ্বিধা নিয়ে ভিতরে ডাকল তাকে। বৃদ্ধা ঘরে ঢুকে বসে পড়লেন, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তার পা ছিল না! রাফি ভয়ে পিছিয়ে গেল।

“তুমি জানো না, এই বাড়িটা আগে আমার ছিল,”—বৃদ্ধার গলা হঠাৎ গম্ভীর হয়ে উঠল।
“১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের হাতে আমি এইখানে মারা গিয়েছিলাম। আমি এখনো শান্তি খুজছি।”

রাফি দৌড়ে দরজার দিকে ছুটে গেল, কিন্তু দরজা কিছুতেই খুলছে না। ঘরের বাতাস হঠাৎ ঠান্ডা হয়ে উঠল। বৃদ্ধার মুখে এক বিকৃত হাসি ফুটে উঠল।

পরদিন সকালে প্রতিবেশীরা এসে দেখে—দরজা খোলা, কিন্তু ঘরে কেউ নেই। শুধু এক কাপ জল পড়ে আছে মেঝেতে, আর দেওয়ালে লেখা—

“আমি ফিরে আসব…” 

0 comments for "ভয়ঙ্কর অতিথির গল্প"